ভালো শ্রোতা হওয়ার কৌশল
যোগাযেগ রক্ষায় ভঅলো শ্রোতা হওয়া খবুই জরুরি । কোনো কিছু শোনা মানেই ভালো শ্রোতা হওয়া নয়। ভালো শ্রোতা অন্যের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করেন এবং যা শোনেন তা নিয়ে ভাবেন। আমাদের চারপাশে অনেকেই প্রচুর কথ বলেন এবং অন্যের কথ মনোযোগ দিয়ে শোনেন না বা খানিকটা শুনলেও তা ভাবনা-চিন্তার গভীরে নেন না। এরা কোনভাবেই ভালো শ্রোতা নন। ভালো শ্রোতার কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যা দেখে বোঝা যায় যে তিনি ভালো শ্রোতা- যেমন-
- একজন ভালো শ্রোতা মনোযোগ দিয়ে বক্তার বক্তব্য শোনেন; শোনার সময় অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন না।
- একজন ভালো শ্রোতা সাধারণত বেশির ভাগ সময় বক্তার চোখে চোখ রেখে তার বক্তব্য শোনেন।
- একজন ভালো শ্রোত বক্তব্যের সাথে একত্মা হয়ে যান। তিনি যা শুনেছে সে অনুযায়ী তার অভিব্যক্তি ( যেমন- মৃদু হাসা, দুঃখের অভিব্যক্তি দেওয়া ইত্যাদি) পরিবর্তন হয়্
- একজন ভালো শ্রোতা অন্যের কথা বলার সময় নিজে কথ বলেন না। সময় ও সুযোগ বুঝে অথবা অন্যের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরে তিতিন কথা বলেন।
- একজন ভালো শ্রোতা কারও বক্তব্য শোনার সময় হঠাৎ অ্প্রাসিঙ্গিক বিষয়ে কথত বলতে শুরু করেন না।
আরো পড়ুন – gender কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
এখন ভেবে দেখ তো তোমদের মাঝে এই বৈশিষ্ট্যগুলো আছে কি না? আমাদের সবার মধ্যেই ভালো শ্রোতা হওয়ার গুণাবলি কম-বেশি রয়েছে।
আমাদেরও উচিত ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করা। কারণ, কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য ভালো শ্রাতা হওয়া খবুই প্রয়োজন।
নিচে ভালো শ্রোত হওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
১. উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা
একজন গুণী মানুষ যেমন উদ্দেশ্যে ও পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কাজ শুরু করেন না, তেমনি একজন ভাপলো শ্রোতও গঠনমূরক কোনো উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো কথায় কর্ণপাত করেন না। একজন ভালো শ্রোতা শোনার আগেই ঠিক করে নেন, কী কী তথ্য তার প্রয়োজন এবং কীভাবে সেই সকল তথ্য তিনি মনে রাখবেন। মনে রাখার জন্য একজন ভালো শ্রোতা বেশ কিছু কৌশল অবল্মবন করে থাকেন; যেমন মুখ্য শব্দ মনে রাখার কৌশল (এক্ষেত্রে শ্রোতা মুখ্য শবদ্সমূহ মনের রাখেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জ্ঞান হিসেবে তার পূর্বে শেখা বিষয়ৈর সাথে একীভূত করে নেন)। তবে, অধিক তথ্যের ক্ষেত্রে শ্রোতা সওগুলোকে নোট করে বা টুকে নেয়। শোনার আগেই যদি উদে্েদশ্য ঠিক করে নেওয়া যায়, কিংবা কী কী তথ্য জানা প্রয়োজন তা ঠিক করে নেওয়া যায় তবে শোনা তথ্য মনের রাখা সহজ হয়।
২. মনোনিবেশ করা
ভালো শ্রোতা হতে হলে অবশষ্যই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। কোনো কিছু মনোযোগ দিয়ে শোনা সহজ ব্যাপার নয়। এজন্য অনুশীলন ও চেষ্টার প্রয়োজন । অনেকের ক্ষেত্রেই কখনো কখনো কারো কথা বা বক্তব্যের প্রতি মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকে আবার খুব দ্রুত অন্যের বক্তব্যের গভীরে মনোনিবেশ করতে পারেন। এ জন্য চেষ্টা ও অনুশীলন ।প্রয়োজন।
৩. মানসিক ও শারীরিকভাবে স্থির থাকা
ভালো শ্রেতা হতে হলে কোনো কিছু শোনার সময় মানসিক ও শারিীরিকবাবে স্থির থাকতে হবে। কেউ যখন কথা বলেন বা বক্তব্য প্রদান করে, তখন অনেকেই বিভিন্ন রকম কার করেন, নানা রকম চিন্তা-ভাবনা করেন। এ রকম অবস্থায় মনোযোগ দিয়ে শোনা যায় না। কাজেই মনোযোগী শ্রোতা হতে হলে কোনো কিছু শোনার সময় অবশ্যই আগ্রহ থাকতে হবে। এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে স্থির থাকতে হবে।
৪. চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা
আমাদের দেশে গুরুজনদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা বা কথা শোনাকে অনেকেই অভদ্রতা মনে করে থাকেন। কিন্তু কোন কিছু মনোযোগ দিয়ে শোনার ক্ষেত্রে চোখের মাধ্যমে যোগাযোগ খবই গুরুত্বপূর্ণ । শ্রোতা বক্তার চোখের দিকে তাকিয়ে অনেকে কছিুিই অনুমান করতে পারেন; বিষয়বস্তুর গভীরে গিয়ে মানসিক যোগাযোগ তৈরি করতে পারেন। ফলে, শোনা বিষয়টি অনেক অর্থবহ হয়।
৫. কথার মাঝে কথা না বলা
অন্য কেউ যখন কথা বরেন, তখন আমাদের কথা বলা উচিত নয়,। কেউ কথা বলার সময় যদি আমরা কথ বলি, তবে একদিকে আমরা যেমন তার কথা ভালোভাবে শুনতে পারি না; তেমনি তিনিও আমাদের কথা শুনতে পারেন না। কাজেই মনোযোগী শ্রোতা হতে হলে অন্যরা যখন কথা বলেন তখন নিজে নিশ্চুপ থেকে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার অব্যাস তৈরি করতে হবে। একজনের কথা বলা শেষ হলে তারপর নিজে কথা বলতে হবে।